ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া-পর্ব ২

পেনাংয়ে কয়েকদিন

মাহমুদ খায়রুল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৪
পেনাংয়ে কয়েকদিন

কুয়ালালামপুর থেকে: মালয়েশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত পেনাং রাষ্ট্রের অন্যতম দ্বীপ পেনাং। মালয়েশিয়ার উল্লেখযোগ্য যতগুলো দর্শনীয় স্থান আছে তার মধ্যে অন্যতম এই দ্বীপ।

কুয়ালালামপুর শহর থেকে বিমানে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট, আর স্থলপথে বাসে সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা।

এখানে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো স্থান হলো বাতু ফিরিঙ্গি সৈকত। সৈকতের পাশে ১০০-১২০ রিঙ্গিতের মধ্যেই হোটেল মিলবে। সেখান থেকে ট্যাক্সি ভাড়া নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন পেনাং হিল, কিং লক সি মন্দির, জর্জ টাউন ইত্যাদি।
এর সাথে পেনাং’র প্রসিদ্ধ রকমারি স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন না। বর্তমানে এদের স্থানীয় খাবার পৃথিবীর ১০টি বিখ্যাত খাবারের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে।

লংকাউই
আরেকটি অন্যতম দ্বীপ হল লংকাউই। বিদেশি পর্যটকের কাছে অন্যতম এবং মালয়েশিয়ার অসম্ভব সুন্দর এ দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে ঈগল পাখির মালয় নাম অনুসারে।



কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ২৫০ মাইল দূরে মালয়েশিয়ার পশ্চিমে এ দ্বীপটি অবস্থিত। যাতায়াতের জন্য আকাশ পথ বেছে নেওয়াই ভালো। এতে ঘোরার জন্য প্রচুর সময় পাওয়া যাবে হাতে। আকাশ পথে সময় লাগবে মাত্র ৫০ মিনিট।

লংকাউঈতে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো এলাকা হলো পান্তাই চেনাং সমুদ্র সৈকত। এর পাশেই ১৪০-১৬০ রিঙ্গিত এর মধ্যে হোটেল মিলে যাবে।

এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো হলো ঈগল স্কোয়ার, লংকাউই কেবল কার, জিও ফরেস্ট পার্ক, তেলাগা তুজুহ ঝর্না, ওয়াটার ওয়ার্ল্ড, চেনাং রাতের বাজার ইত্যাদি।



লংকাউইতে ২-৩ দিন থাকা, খাওয়া ও কেনাকাটার জন্য জনপ্রতি খরচ হবে ৫০০-৬০০ রিঙ্গিত। এখানকার সৈকতটি বাংলাদেশের কক্সবাজারের মতো এতো দীর্ঘ নয়, তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। হানিমুনের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক আসেন এখানে।

ক্যামেরন হাইল্যান্ড
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া সব সময় উষ্ণ। যদি এর থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে চান, তাহলে ১-২ দিন সময় করে চলে যেতে পারেন পাহাড়ি এলাকা ক্যামেরন হাইল্যান্ডে। এই এলাকার আবিস্কারক স্যার ক্যামেরনের নাম অনুসারেই এর নামকরণ করা হয়। সমুদ্র সীমা থেকে ১৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত সবুজ ক্যামেরন হাইল্যান্ড। আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে আপনাকে যেতে হবে এখানে।



ক্যামেরন হাইল্যান্ড সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত স্ট্রবেরি চাষের কারণে। প্রায় ৫০-৬০টি স্ট্রবেরি বাগান আছে এখানে, যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। এমনকি বাগান থেকে তাজা স্ট্রবেরি তুলে এ রসালো ফলের টাটকা স্বাদ পেতে পারেন আপনি।

এছাড়াও দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে গোলাপ বাগান, মৌমাছি বাগান, চা বাগান, ঝরনা, প্রজাপতির বাগান উল্লেখযোগ্য।



ক্যামেরন হাইল্যান্ড যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক উপায় হলো ট্যাক্সি। কুয়ালালামপুর থেকে ক্যামেরন হাইল্যান্ডে যেতে খরচ হবে ৩০০-৪০০ রিঙ্গিত। একদিনের জন্য একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে নিতে পারেন। এতে সুবিধে হবে বেশি।


 
এছাড়াও আরও অনেক অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে মালয়েশিয়াতে। সময় থাকলে মালাকা, লেগো ল্যান্ড, তিওমান দ্বীপ, তামান নেগারা, রেডাং ও পেরহেন্তিয়ান দ্বীপ ঘুরে আসতে ভুলবেন না যেনো।  

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে। আর মাস শেষে ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’র সেরা লেখকের জন্য তো থাকছেই বিশেষ আকর্ষণ..

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।  

প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন- [email protected] এই ঠিকানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।