ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি: বাংলাদেশ-আমিরাত আলোচনা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি: বাংলাদেশ-আমিরাত আলোচনা শুরু

ঢাকা: বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ফ্লাইট চলাচলের বিষয়ে দুই দিনব্যাপী আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দপ্তরে এই আলোচনা শুরু হয়।

প্রথম দিনের আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিমান চলাচল চুক্তির আওতায় যোগাযোগ বৃদ্ধি ও চুক্তিটি আরও যুগোপযোগী করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনায় ইউএইর পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক সাইফ মোহম্মেদ আল সুওয়াইদি। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

এছাড়া ইউএইর পক্ষে দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এবং দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ তাদের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের মোট ২২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পক্ষে বেবিচক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেবিচকের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন এমন একটি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) চারটি এয়ারলাইন্স।

বাংলাদেশ-ইউএই এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট (এএসএ) কনসালটেশন বৈঠকে বিষয়টি তুলবে ইউএই কর্তৃপক্ষ। সম্মতি পেলে সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে পারবে। ৪টি এয়ারলাইনস হলো এমিরেটস, ইতিহাদ, ফ্লাই দুবাই ও এয়ার অ্যারাবিয়া। তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনাকে এভিয়েশন খাতের পরিভাষায় ‘ফিফথ ফ্রিডম’ বলা হয়।

সূত্র আরও জানায়, এমিরেটস এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় যে কোনো দেশে বাধাহীনভাবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের অনুমতি চায়। এছাড়া ঢাকা থেকে সপ্তাহে আরও ৭টি এবং সিলেট থেকে ৩টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায়। ফ্লাই দুবাই ফিফথ ফ্রিডমের অনুমতি নিয়ে ঢাকা-ব্যাংকক, ঢাকা-কুনমিং, চট্টগ্রাম-ব্যাংকক এবং চট্টগ্রাম-কুনমিং পথে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে আরও ১৪টি, চট্টগ্রাম থেকে ১৪টি এবং সিলেট থেকে ১৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায়। আর ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ঢাকা থেকে হংকং রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে আগ্রহী। একই সঙ্গে বর্তমান ফ্লাইট সংখ্যার পাশাপাশি ঢাকায় আরও ৭টি যাত্রীবাহী ও ২টি কার্গো ফ্লাইট চালাতে চায়। এদিকে এয়ার অ্যারাবিয়া ঢাকা-করাচি রুটে যাত্রীবাহী ও ভারতে কার্গো ফ্লাইট চালাতে অনুমতি চায়। তারাও প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে আরও ১৪টি, চট্টগ্রাম থেকে ৭টি এবং সিলেট থেকে ৭টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।