ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সমাজে লিঙ্গ-বিদ্বেষ নিয়ে প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
সমাজে লিঙ্গ-বিদ্বেষ নিয়ে প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’

ঢাকা : স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশে নারীরা যেন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। হিন্দু-মুসলমান, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সমাজের সকল বর্গেই নারীরা ‘সংখ্যালঘু-দশা’র মধ্যে বন্দী হয়ে আছে।

এ অসহায় দশা সংখ্যা নয় বরং ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

নারীর মুক্তি ও নরের মুক্তি একই সুতোয় বাঁধা। এ বিষয়গুলোকে চিন্তার কেন্দ্রে রেখেছে প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’।

কবি, প্রাবন্ধিক এবং জেন্ডার ও মিডিয়া বিষয়ক গবেষক আফরোজা সোমার প্রবন্ধগ্রন্থ বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প নিয়ে আলোচনা ও আনন্দ-আড্ডায় অংশ নিয়ে বক্তরা এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (২৬শে আগস্ট) বিকেলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এ আয়োজন করে বইটির প্রকাশনী সংস্থা হাসান’স।

প্রবন্ধগ্রন্থের লেখক আফরোজা সোমা বলেন, সমাজ বদলাতে হলে, সামাজিক মনস্তত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হলে সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছতে হবে। শহুরে জনগোষ্ঠীর কাছে পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছাতে বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের কাছে পরিবর্তনের এ ভাবনাগুলোকে কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আরেও ভাবতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

লেখক-অনুবাদক রওশন জে চৌধুরী বলেন, সমাজে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার ভেতর দিয়েই যে মূলত নারী ও পুরুষের চরিত্র-পরিচয় নির্মিত হয়; সেই বিষয়টিকে অত্যন্ত নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প।

প্রবন্ধগ্রন্থটি সময় ও সমাজে থেকে এগিয়ে থাকা গ্রন্থ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আলোচক বাকি বিল্লাহ।

কবি জুয়েল মোস্তাফিজ বলেন, মূলধারার গণমাধ্যমে, বিশেষত পত্রিকায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও নিপীড়নের খবরগুলোর ভাষা যে লিঙ্গ-সংবেদনশীল নয়; সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা রয়েছে এই গ্রন্থে। তাই, দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বইটি অবশ্য জরুরি পাঠ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কবি ও কথাসাহিত্যিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ বলেছেন, পুরুষতন্ত্র যে শুধু নারীকে নয়, পুরুষকেও বন্দী করে রাখে সেই বিষয়টিকে দারুণভাবে তুলে ধরেছে বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প। বইটি পুরুষতন্ত্রের জীবাণুতে শুধু পুরুষ নয় নারীরাও যে আক্রান্ত হতে পারে সেই বিষয়টিকে বিভিন্ন উদাহরণ ও প্রেক্ষিত টেনে এনে পরিষ্কার করেছে বলে মন্তব্য করেন কবি অনিকেত শামীম।

বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প বইয়ে মোট চারটি অধ্যায় ও ২৭টি প্রবন্ধ রয়েছে। ২০২১ সালের একুশে গ্রন্থমেলায় সোমার এ বইটি প্রকাশ করে প্রকাশনী সংস্থা হাসান’স।  

বাংলাদেশ সময় : ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।