ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

নিউ ইয়র্কে বইমেলার উদ্বোধন করলেন কবি আসাদ চৌধুরী

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
নিউ ইয়র্কে বইমেলার উদ্বোধন করলেন কবি আসাদ চৌধুরী

নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পাঁচদিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর সংলগ্ন ম্যারিয়ট হোটেলে ৩০তম এ বাংলা বইমেলা শুরু হয়।

 

কানাডা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী।  

মেলা উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট ও বাংলাদেশ থেকে লেখক-শিল্পীরা এবারের বইমেলায় যোগ দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

এবার সরাসরি মেলায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল কবি আসাদ চৌধুরীর। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দুই দেশের মধ্যে চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় তিনি মেলায় আসতে পারেননি।  

আয়োজকরা জানায়, উদ্বোধনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ জন লেখক একসঙ্গে মঞ্চে উঠে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন। এরপর সাংস্কৃতিক পর্বে নৃত্য পরিবেশন করেন অনুপ দাশ একাডেমি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন, সাংবাদিক হারুন হাবীব, কবি ও লেখক মিনার মনসুর, শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন, অনন্যা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মনিরুল হক, প্রকাশক আলমগীর শিকদার লোটন, কবি ও প্রকাশক জাফর আহমেদ রাশেদ, লেখক-প্রকাশক হুমায়ূন কবীর ঢালী, প্রকাশক সাইফুর রহমান চৌধুরী, প্রকাশক জসিম উদ্দিন, টিভি উপস্থাপক ও সংগীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী পুনম প্রিয়াম প্রমুখ।

এর আগে ২৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ৩০ বছর ধরে প্রবাসে এবং ১৯৯২ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের এই বইমেলার আয়োজনের জন্য মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশ থেকে আসা লেখক ও প্রকাশকরা।  

সংবাদ সম্মেলনে ৩০তম বইমেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ড. নূরুন নবী বলেন, প্রবাসে বসেও বাংলাদেশের সদ্য প্রকাশিত বাংলা বই এই মেলায় পাওয়া যায়। এটা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই। কোভিডের হুমকি সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রথম সারির ১১ জন প্রকাশক এই মেলায় অংশ নিচ্ছেন। যে কয়দিন এই মেলা বসে, নিউ ইয়র্ক হয়ে ওঠে প্রবাসে এক টুকরো বাংলাদেশ।  

তিনি আরও বলেন, কোভিডের কারণে গত বছর ভার্চ্যুয়াল মেলা করতে হয়েছিল। প্রবাসী বাঙালি পাঠকদের বিপুল আগ্রহ ও উৎসাহে কারণে এ বছর সংকুচিত আকারে পাঁচ দিনের মেলা বসছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।