ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘সুখ’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
‘সুখ’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন ‘সুখ’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

ঢাকা: শিল্পকলা একাডেমিতে কবিয়াল ট্রাস্ট তাদের প্রথম প্রযোজিত নাটক ‘সুখ’ এর দু’টি মঞ্চায়ন করেছে। প্রদর্শনী দু’টি ছিল এ প্রযোজনার প্রথম ও দ্বিতীয় মঞ্চায়ন।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এবং দ্বিতীয় প্রদর্শনী রাত ৮টায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হয়।

আবদেল মোনেম সেলিমের মূল গল্প অবলম্বনে ও তারিক আনামের রূপান্তরে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন ইউসুফ হাসান অর্ক। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহের নানা ধরনের অবনতির গল্প তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে।

ভিন্ন রুচির দু’জন মানুষ স্বামী-স্ত্রী। রুচির এই ভিন্নতার কারণে তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকে। একজন টেলিভিশন দেখতে চায়, আরেকজন তখন সিডি প্লেয়ারে গান শুনতে চায়। একজন মাংস খেতে ভালোবাসেন আরেকজন মাছ পছন্দ করেন। বিষয়টি একসময় প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়। যখন দু’জনের কেউই একে অন্যের পছন্দকে গুরুত্ব দেননা, তখন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। সংসারের শান্তির জন্য যে ধরনের স্বার্থ ত্যাগ দরকার, সেই ত্যাগের অভাবেই দিনে দিনে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বোঝাপড়ার অভাবে একসময় একবিছানাও দুই ভাগ হয়ে যায়। ভুল বোঝাবুঝি ও পারস্পরিক সমঝোতার অভাবে সম্পর্কের মাঝখানে বাধা হয়ে উঠে এক অদৃশ্য দেয়াল। পরস্পরের প্রতি প্রেম-শ্রদ্ধা-সহমর্মিতা না থাকার কারণে একের কাছ থেকে অন্যকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী।

নাটকটি নিয়ে নির্দেশক ইউসুফ হাসান অর্ক বলেন, গত শতকের শেষ দিকে বাংলাদেশের তথাকথিত ‘নাগরিক’ সমাজে যে নতুন মূল্যবোধের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, বর্তমানে তারই একটি পরিপক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছি আমরা এবং সারাবিশ্ব। ইউরোপীয় রেনেসাঁর উপজাত হিসেবে যে ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের উত্থান তা কখনো কখনো ঋনাত্মক প্রভাব নিয়ে আমাদের এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে, এখন ‘আমরা’ ধারণাটি আর চর্চিত হয়না, কেবল ‘আমি’, ‘আমার’ ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি। বর্তমান পৃথিবীর অতিমারির কারণে ‘সোশ্যাল ডিসটেন্সিং’ অযুহাত আমাদের এই একাকীত্বকে আরও উস্কে দিচ্ছে বলেই মনে হয়। আমাদের প্রযোজনায় এই একাকীত্বের পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলোকে খানিকটা অতিব্যঞ্জনা দিয়ে উচ্চকিত সুরে ফোকাস করার চেষ্টা করা হয়েছে।

নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক ও সদ্য উত্তীর্ণ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ২৪ অক্টোবর রোববার নাটকস্মরণীখ্যাত বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হবে নাটকটির তৃতীয় ও চতুর্থ প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।