ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের শীর্ষ সঙ্গীতশিল্পী গৌরী চৌধুরী

শাহীন মিতুলি, যুক্তরাজ্য থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের শীর্ষ সঙ্গীতশিল্পী গৌরী চৌধুরী সব্যসাচী শিল্পী গৌরী চৌধুরী

ভারত উপমহাদেশের বাইরে বাংলা গানের শীর্ষ সব্যসাচী শিল্পী গৌরী চৌধুরী কথা বলেছেন তাঁর একান্ত সঙ্গীতভাবনা, স্বপ্ন এবং চলমান সঙ্গীত-কার্যক্রম নিয়ে। বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন এবং পণ্ডিত রবিশংকরের স্নেহধন্যা গৌরী চৌধুরী গত ত্রিশ বছরেরও অধিক সময় ধরে বাংলা গানের মশাল হাতে নিয়ে গান করে বেড়িয়েছেন ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ বিশ্বের আনাচে কানাচে।

শনিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে গৌরী চৌধুরী পরিচালিত সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান সুরালয় আয়োজন করছে বিশ্ব শিশুসঙ্গীত মেলা।

ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠেয় এই বিশেষ উৎসব সম্প্রচারিত হবে গৌরী চৌধুরীর ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে। এই শিশুমেলায় সঙ্গীত, কবিতা এবং নৃত্য পরিবেশন করবে ইউ কে, বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাভাষী শিশুরা। কারিগরি সহযোগিতায় থাকছে এ আর টেলিভিশন নেটওয়ার্ক।

প্রশ্ন: একজন সঙ্গীতশিল্পী হয়ে ওঠার গল্পটা শুনতে চাই

উত্তর: সেই ছয় বছর থেকেই বাবাকে গাইতে শুনে শুনে গান করতাম। ওই সময় প্রথম খেলাঘর আসরে গান করেছি। গান গাওয়ার সুযোগ পেলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যেতাম। তখন এত ছোট ছিলাম যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টেবিলে বসে গান গাইতাম। ১৯৮৪ সালে সিলেট রেডিওর কিশলয় অনুষ্ঠানে অডিশন দিই। তখন ছাতক ও সুনামগঞ্জে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। এভাবেই সঙ্গীতে আসা। ১৯৮৫ সালে রাধারমণ দত্তের ‘ভ্রমর কইও গিয়া’ গানটি সিলেট বেতারে আমিই প্রথম গাই।

১৯৮৮ সালে বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে গাইতে ইংল্যান্ডে আসি। সে সময় নানা অনুষ্ঠানে গান করেছি, পেয়েছি অকুন্ঠ প্রশংসা। তখন বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এদেশে আমাকে সঙ্গীতশিক্ষক হিসেবে রাখার জন্য হোম অফিসে আবেদন করা হয়। পরের দশ বছর আমার জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল। বাংলাদেশ সেন্টারে মিউজিক টিচার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি মূলধারার স্কুলগুলোতে গান শিখিয়েছি। ১৯৯২ সালে এইচ এম ভি থেকে আমার গান রেকর্ড করা হয়। বড় শিল্পী হওয়া নয়, ভালো গাইতে পারাটাই মূখ্য ছিল সব সময়।

প্রশ্ন: গান করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন কখনো?

উত্তর: গান করেছি এবং করে যাচ্ছি দর্শক আমার গান ভালোবেসে গ্রহণ করেছেন বলে। গান শুনে বিভিন্ন দেশ থেকে সঙ্গীতের আয়োজকরা, সঙ্গীতজ্ঞরা, জর্জ হ্যারিসনসহ ভারতীয় সঙ্গীতের পুরোধারা সীমাহীন প্রশংসা, ভালোবাসা দিয়ে প্রেরণা যুগিয়েছেন, গাইতে ডেকেছেন। আমি তো গানই গেয়েছি মানুষের এবং দর্শকদের ডাকে সাড়া দিয়ে। কখনো আয়োজক হয়ে নিজের গান, নিজের কথা প্রচার করিনি।

আজকাল দেখছি নামে-বেনামে বিভিন্ন স্কুল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে নিজের কথা, নিজের গানকে মানুষ প্রচার করে যাচ্ছে। শিল্পীরা গান তো নয়, নিজেদের ভুলভাল কাজের নির্লজ্জ আয়োজক হয়ে উঠছেন। একে অন্যের ছাত্রছাত্রীদের হাইজ্যাক করছেন এই ইউরোপে বসেও। গান ছেড়ে বিভিন্ন স্কুল এবং সংগঠন বানিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন যা আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করে।

ভালো কাজ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা তো থাকবেই। কিন্তু যখন দেখি এই প্রতিবন্ধকতার পেছনে রয়েছেন সঙ্গীতচর্চার সাথে যুক্ত কিছু অসুস্থ এবং বিকৃত মানুষ, সেটা মানতে খুব কষ্ট হয়। এমনই এক নাজুক অবস্থা যে, ভারতে বাংলা গানের একজন কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী কিছুদিন আগে আমার একটি অনুষ্ঠানে এসে আমাকে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘গৌরী তোর গান আমি ভীষণ ভালোবাসি। কিন্তু খুব খারাপ লেগেছে বিলাতের মাটিতেও গান নিয়ে এত পলিটিক্স হতে দেখে। একটা মেয়ে হয়ে তুই তিলে তিলে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছিস। এজন্যে আমার ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ তোর সাথে থাকবে। ’ 

যারা এই পলিটিক্সগুলো করে তারা নিজেরাই শেষ হয়ে যাবে। সঙ্গীত আমার কাছে সরস্বতীর আরাধনার আরেক নাম, একটা স্বর্গীয় ব্যাপার। ফলে কখনোই এসব বিষয়কে প্রতিবন্ধকতা মনে করিনি। সারা বিশ্বব্যাপী দর্শকরা ভালোবাসছেন, সঙ্গীতের মহান কুশীলবরা ভালোবাসা দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন, এটাই আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের।

প্রশ্ন: বিদেশের মাটিতে সঙ্গীতচর্চা করতে গিয়ে আর কি কি প্রতিবন্ধকতার শিকার হন বা হচ্ছেন?

উত্তর: প্রথম দিকে সঙ্গীত শেখানোর পাশাপাশি স্কুলে চাকরি করেছি। সে সময় বলিউড-সঙ্গীতের প্রতি মূলধারার সংগঠনগুলোর একটা ঝোঁক ছিল। আমি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, হাসন রাজার গান এদেশের মানুষের মাঝে, শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিরলস কাজ করেছি। এই লড়াইটা সহজ ছিল না। পরবর্তী সময়ে রয়েল অ্যালবার্ট হল, রয়েল ফেস্টিভ্যাল হলে ১০০০/১২০০ বাচ্চাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করেছি।

নিজের সংসার, স্বামী-সন্তান সামলে এই কাজগুলো করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। লন্ডনের ভেতরে অনুষ্ঠান হলে বাচ্চাদের সাথে নিয়ে যেতাম। ভীষণ কষ্ট হতো কিন্তু সঙ্গীত থেকেই শক্তি লাভ করেছি। পাশে ছিলেন স্বামী।  সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের কাছ থেকে অকুন্ঠ সমর্থন আর প্রশংসা পেয়েছি। তবে কোয়ালিটির ব্যাপারে কম্প্রোমাইজ করিনি কখনো। নবীন/প্রবীণ সবার সাথে মিলে-মিশে কাজ করেছি। শুরুর দিকে কিছু অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখতাম হল ভরা শুধু পুরুষ দর্শক। আমি তাদের প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করেছি পরিবারের নারীদের এসব অনুষ্ঠানে নিয়ে আসার জন্য। এটাই আমার একটা ক্যাম্পেইন ছিল।

প্রশ্ন: একজন নারী হিসেবে নানা প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একটি সঙ্গীত শিক্ষালয় আপনি প্রতিষ্ঠা করেছেন- গৌরি চৌধুরীর সুরালয়। সুরালয় সম্পর্কে কিছু কথা শুনতে চাই

উত্তর: সুরালয়ের উদ্দেশ্য আমার সঙ্গীতের প্রমোশন বা আত্মপ্রচার নয়। খেলাঘর করার সময় থেকেই শেখানোর একটা স্পৃহা ছিল। তখন থেকে পাড়ার সহপাঠী, বন্ধু সবাইকে ডেকে গান শেখাতাম। স্বপ্ন ছিল একটা সঙ্গীত-শিক্ষালয় করার, যার নাম হবে সুরালয়, অর্থাৎ সুরের ঘর। ২০০৯ থেকে বাড়িতে শেখানো শুরু করি। ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুরালয়ের জন্ম হয়। এক হাজারেরও বেশি দর্শক সুরালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে আমার ছাত্র-ছাত্রীদের আশীর্বাদ করে গেছেন। এরপর থেকে ভারতীয় বিদ্যাভবন, নেহেরু সেন্টার, বাংলাদেশ হাইকমিশন, সৌধ বাংলা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, বাউল ও বৈষ্ণব মিউজিক ফেস্টিভ্যালসহ বিভিন্ন মূলধারার এবং কমিউনিটি অনুষ্ঠানে সুরালয় অংশ নিয়েছে এবং দর্শকদের বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে।

প্রশ্ন: বিদেশে বড় হওয়া শিশুদের মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। শেখার ক্ষেত্রে ভাষাটা এদের জন্য একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। এটা কাটিয়ে উঠতে কিভাবে সাহায্য করেন?

উত্তর: এই কাজটা বেশ কষ্টসাধ্য। ওদের বাংলা অক্ষর এবং উচ্চারণ শেখাতে হয়। গান ইংরেজিতে লিখে অর্থ বুঝিয়ে দিতে হয় যাতে ভাবনাটা তাদের ভেতরে ঢুকে যায়। রবীন্দ্রনাথের গান শুনতে এক রকম, কিন্তু ভাবার্থ বোঝাতে গেলে ওদের মতো করে বলতে হয়। এ প্রসঙ্গে মজার একটা ঘটনা বলি। একদিন গানের ক্লাসে বলছিলাম, আজ তোমাদের রাগ শেখাবো। সাথে সাথে সম্মিলিত শিশু কন্ঠে উত্তর এলো, ‘আমরা গোসসা শিখবো আজকে (রাগারাগিকে সিলেটে গোসসা বলে)। ’

প্রশ্ন: কোভিডের সময়ে সুরালয় কি কি কাজ করছে, সে সম্পর্কে জানতে চাই

উত্তর: নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করানোর পাশাপাশি আমরা জুমের মাধ্যমে নিজেদের অনুষ্ঠান করছি। আমি নিজে ‘জাগো মানুষ জাগো’ এবং ‘তারে আমি আইজও ভুলি নাই’ শিরোনামে দুটি গানের প্রোডাকশন করেছি। অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গুরু-শিষ্য পরম্পরা, ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলা গানের কিংবদন্তিতুল্য বিখ্যাত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লাকে নিয়ে ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান। পাশাপাশি মূলধারার স্কুলে রবীন্দ্রনাথের গানের উপর ক্লাস নিচ্ছি নিয়মিত। এছাড়াও আপাসেন নামে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটা স্কুলে কাজ করছি। এই শিশুদের নিয়ে আরও অনেক কিছু করার পরিকল্পনা আমার আছে।

প্রশ্ন: সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি আপনি সমাজের বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী কন্ঠ। বিভিন্ন সময় শিল্পীসহ দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ ব্যাপারে কিছু বলুন

উত্তর: কোভিডের সময়ে বাদ্যযন্ত্রীদের জন্য এবং বাউল রণেশ ঠাকুরের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছি। এছাড়া মূলধারার কিছু সংগঠনের সাথে মিলে শিল্পীদের জন্যে একটি বিশেষ তহবিল গঠনের কাজ চলছে। আমার দৃষ্টিতে মানবতাই সবচেয়ে বড় ধর্ম। মানবতার কল্যাণে আজীবন কাজ করে যেতে চাই।

প্রশ্ন: একজন শিল্পী কখনোই শিল্পের চেয়ে মহান নন। আপনার বিনয়ী স্বভাবের কারণে আপনি সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে এই প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য আপনার উপদেশ বা পরামর্শ কি?

উত্তর: আমি মনে করি, নিজেকে শুদ্ধ করাটা জরুরি। শিল্পের চেয়ে শিল্পী কখনোই বড় নন। আমি তো নিজে শিল্পী হইনি, কেউ হতে পারেন না। একজন শিল্পী পরিচিতি পান নিজের সততা, নিষ্ঠা আর মানুষের ভালোবাসায়। হিংসাত্মক বা বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে গান গাওয়া যায় হয়তো, শিল্পী হওয়া যায় না, মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। ভালো শিল্পী হওয়ার আগে নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।

প্রশ্ন: উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লার অত্যন্ত স্নেহভাজন একজন মানুষ আপনি। এই যে আপনাদের দুজনের এত চমৎকার একটা বোঝাপড়া- এটা কিভাবে তৈরি হলো?

উত্তর: ১৯৯৮ সালে সারেগামা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ওই অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন ওস্তাদ গোলাম আলী, জগজিৎ সিং, রুনা লায়লার মতো বিখ্যাত শিল্পীরা। হিন্দি গানের পাশাপাশি মাতৃভাষায় গান করার রাউন্ডে আমি ‘আমার বলার কিছু ছিল না’ গানটি করি। পরবর্তী সময়ে হৈমন্তী শুক্লাদি ইংল্যান্ডে এলে আমাকে খু্ঁজে বের করেন। সেই থেকে ওঁর সাথে অসম্ভব সুন্দর একটা বন্ধন তৈরি হয়েছে।

প্রশ্ন: সঙ্গীতজীবনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা কি কি?

উত্তর: পণ্ডিত রবিশংকরের অনুষ্ঠান দেখতে নিয়মিত বার্বিকান সেন্টারে যেতাম। সেই সুবাদে রবিশংকর জী’র সাথে আলাপ হয়। ওঁর আশীর্বাদ পাই। একবার জর্জ হ্যারিসন ওঁর অনুষ্ঠান দেখতে আসেন। গ্রিনরুমে তাঁর সাথে আলাপ হয়। ওঁর সাথে ‘East Meets West’ নামে ষাটের দশকের বাংলা এবং ইংরেজি গানের একটা ফিউশন কনসার্ট করার পরিকল্পনা চলছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি মারা যান। রয়েল ফেস্টিভ্যাল হলে বাউল আব্দুল করিমের গান অসংখ্য অবাঙালি শিশুদের দিয়ে গাইয়েছি, পুরো অর্কেস্ট্রেশন পরিচালনা করেছি। এসবের ঊর্ধ্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গান করে হাজার হাজার মানুষের সীমাহীন ভালোবাসা পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমার গান শুনে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। বোধকরি এটিই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।