শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার ৭১ততম জন্মবার্ষিকীতে হাসুমণির পাঠশালা আয়োজন করে ৭১ ফুট দীর্ঘ চিত্রাঙ্কন কর্মশালার। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চত্বরে শিশুদের নিয়ে এ কর্মশালার উদ্বোধন পর্বে এমনটাই বলছিলেন বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন।
এর আগে হাসুমণির বাংলাদেশ শীর্ষক এ আয়োজনে শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয় 'হাসুমণির' ৭১টি প্রতিকৃতি। এর সবগুলোই অঙ্কন করেছেন দেশের বরেণ্য সব শিল্পীরা।
'হাসুমণি' শব্দটা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রতীকী শব্দ। বঙ্গবন্ধু তার বড় মেয়ে শেখ হাসিনাকে আদর করে 'হাসুমণি' বলে ডাকতেন। যেমনটি বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি বাবা-মা তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানকে আদর করে সোনামণি বা যাদুমণি বলে ডাকেন।
সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে ছোট্ট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে সেই হাসুমণির জন্মদিন উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক গওহর রিজভী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি, দেশবরেণ্য শিল্পী মণিরুজ্জামান মণিরসহ বিশিষ্টজনেরা।
এসময় গওহর রিজভী বলেন, আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীন বাংলাদেশকে পাওয়ার জন্য আমাদের ত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুকে আমাদের সন্তানদের মনে রাখতে হবে।
নাসিমা বেগম বলেন, শিশু-কিশোরদের জন্য সরকার প্রতিটি স্তরে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে। কিশোর-কিশোরীদের জন্য চালু করা হয়েছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব, যা প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে। আজকের শিশুই আমাদের আগামী। তারাই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বে।
শিল্পী মণিরুজ্জামান মণির বলেন, অর্থনৈতিকভাবে আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি। এখন আমাদের রুচিশীল হতে হবে।
অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপক 'হাসুমণির পাঠশালা'র সভাপতি মারুফা আক্তার পপি বাংলানিউজকে জানান, এই আয়োজনে ৭১টি প্রতিকৃতি প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন কর্মশালা এবং ৭১ ফুট ক্যানভাসে খুদে শিল্পীরা আঁকবে ওদের স্বপ্নের সোনার বাংলা 'হাসুমণির বাংলাদেশ'।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এইচএমএস/এএ
