ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঐতিহ্যের স্মরণে ‘শিল্পের শহর ঢাকা’

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
ঐতিহ্যের স্মরণে ‘শিল্পের শহর ঢাকা’ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পুরান ঢাকার ভুলতে বসা ঐতিহ্যের সঙ্গে নাগরিকদের নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে শিল্পকলা একাডেমি রাজধানী জুড়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে নতুন উদ্যোগ ‘শিল্পের শহর ঢাকা’। সাধারণ মানুষের সঙ্গে শিল্পের সংযোগ ঘটাতে শিল্পকলা একাডেমির তিন দিনের এ আয়োজনটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

তিনি জানান, এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের ১৮তম আসর উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি তরুণ পারফরমেন্স আর্ট শিল্পীদের নিয়ে নতুন এই উদ্যোগটি নিয়েছে।

শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় দেশে নিউ মিডিয়া চর্চার অন্যতম অংশ পারফরমেন্স আর্ট নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে। আর্ট বিয়েনালের এবারের আসরে যুক্ত হতে যাচ্ছে এই শিল্প মাধ্যমটি। এই উদ্যোগ থেকেই ‘শিল্পের শহর ঢাকা’র পরিকল্পনা।

লিয়াকত আলী লাকী আরও বলেন, নাগরিক নানা সঙ্কটে আজ এই শহরের ঐতিহ্য মানুষ ভুলতে বসেছে। যানজটের চাপে মানবিক আবেগগুলো অনেকখানি উপেক্ষিত।  শহরবাসীকে পুরান ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে, মানুষের মাঝে শিল্পবোধ ছড়িয়ে দিতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এ আয়োজন।

পুরান ঢাকা, সংসদ ভবন, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এই স্থানগুলোকে শিল্পীদের পারফরমেন্সের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘শিল্পের শহর’ আয়োজনটিতে ১৬ জন বাংলাদেশি শিল্পী পারফর্ম করবেন। এ কর্মসূচিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে বাউল শিল্পীদের পরিবেশনা ও শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে।

এছাড়া আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের ১৮তম আসরে ৬৭টি দেশের শিল্পীরা অংশ নেবে বলেও জানান তিনি। আর্ট বিয়েনালের মূল আসরে বাংলাদেশের ১৫জন শিল্পীর পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত ১২ জন শিল্পী পারফরমেন্স করবেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১ অগাস্ট থেকে শিল্পকলায় শুরু হচ্ছে নানা আয়োজন। এ আয়োজনের মধ্যে রয়েছে পক্ষকালব্যাপী চিত্রকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের কণ্ঠে ‘বঙ্গবন্ধুর গান’, বাউল শিল্পীদের কণ্ঠে ‘বঙ্গবন্ধুর গান’,  নাটক ‘মুজিব মানে মুক্তি’, নৃত্যনাট্য ‘যতকাল রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান’, কবিতা পাঠের আসর ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এইচএমএস/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।