ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ২৮)

ধারাবাহিক রচনা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ২৮)

পর্ব ২৭ পড়তে ক্লিক করুন

বিলাতি নারীদের আনন্দ বিহার |
বিলাতি কন্যা মনিকা ক্যাম্বেলের মেজাজ আজ বেশ ফুরফুরে। শ’খানেক স্থানীয় লোকজনের বিশাল বহর, সেই সাথে কিছু ইংরেজ সিপাহি আর চা বাগানের ম্যানেজার উইলিয়ামকে নিয়ে তিনি চললেন শিকার করতে।

বন্দুক, বারুদ, দড়ি, কাঁচি, ছুরি, তাঁবু—শিকার করতে যা যা প্রয়োজন সব নিয়েই তিনি প্রস্তুত। শিকার তার শখ শুধু নয়, বরং বলা যায় শিকার তার ধ্যানজ্ঞান। গভীর জঙ্গলে শিকারের খোঁজে দশদিনের জন্য তিনি হারিয়ে যাবেন। এরচেয়ে আনন্দের-রোমাঞ্চকর ঘটনা আর কী হতে পারে? সে এক বিশাল ব্যাপার। মনিকার ভাষায়, “কুলিরা বাক্স পেটরা গোছাতে ব্যস্ত, কেউ কেউ দড়ি, তাঁবু আর বাঁশগুলো শেষবারের মতো পরখ করে নিচ্ছে। সে এক অসাধারণ দৃশ্য। ”

আসামের গভীর জঙ্গলে শিকার করা খুব সহজ নয়। তবু প্রথম অভিযানে মনিকাকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়নি। নৌকা থেকে গুলি করে তিনি একটি কুমির মেরেছিলেন। যদিও বাঘ মারা তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু বাঘের দেখা খুব একটা মিলল না। এছাড়া, হাতের কাছে ছোটখাট যাই পেলেন, মনের সুখে শিকার করলেন। স্থানীয় লোকজন মনিকা ক্যাম্বেলকে ‘জংলী মেম’ বলে ডাকত। মনিকা তাতেই খুশি। যাক, খেতাব একটা মিলেছে তার কপালে। মনমতো শিকার করতে না পারলেও দশদিন গভীর জঙ্গলে থেকে শিকার সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছিল মনিকার। চলুন সে কথা শুনি তার মুখ থেকেই:



যাদের পর্যাপ্ত টাকা কড়ি ছিল, তারা ভারতের বাইরে সুইজারল্যান্ড বা অন্যান্য দেশে ঘুরতে যেতেন। তবে সে সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য। বেশিরভাগ বিলাতি নারীরা ভারতেই ঘুরতেই বেশি ভালোবাসতেন। বিলাতি নারী মিস গডেন এবং তার স্বামী স্টিমারে চড়ে কলকাতা থেকে সুন্দরবন হয়ে পূর্ব বাংলার নারায়াণগঞ্জ এসেছিলেন। সঙ্গে থাকা ছেলেমেয়েরা স্টিমারের ডেক থেকে অবাক বিস্ময়ে প্রাণভরে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করে। মিসেস গডেনের ভাষায়, “কী অপরূপ সে দৃশ্য। নদীতে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ আর আকাশে বিভিন্ন রঙের পাখি। সে পাখিগুলোর মধ্যে কত রকমের বক, মাছরাঙা যে রয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। আর দূরে দেখা যায় সবুজ একটা গ্রাম। যেখানে চোখ সারাক্ষণই আটকে থাকতে চায়। ”



“বন্য প্রাণীদের সঙ্গে বসবাস করতে গিয়ে শিকার সম্পর্কে অনেক কিছুই আমি রপ্ত করে ফেলেছিলাম। বিশেষত জঙ্গলের পশুপাখির আচরণ আমাকে শিকার করতে বেশ সহায়তা করে। যেমন ধরুন, একটি কাক গাছের মগডালে বসে সারাক্ষণ কা কা শব্দ করছে আর ডানা ঝাপটে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে অথবা একদল বানর হঠাৎ গাছ ঝাকিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দিল অথবা হরিণের দল হঠাৎ ঘাস খাওয়া বন্ধ করে কান খাড়া করে মূর্তিবত দাঁড়িয়ে পড়ল। তার মানে তারা বুঝতে পেরেছে, আশেপাশেই বড় কোনো শিকারি তাদের জন্য ওঁত পেতে বসে আছে। ”

সে যাত্রায় মনিকার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছিল। যেমন ভুল করে পিঁপড়ার ঢিঁবিতে পা আটকে পড়ে যাওয়ায় তার দুধে আলতা পা লাল হয়ে ফুলে যায়। শিকার থেকে ফিরে আক্রান্ত হলেন ম্যালেরিয়ায়। এত কিছুর পরও মনিকা ক্যাম্বেল শিকারের নেশা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে পারেন নি। মনিকা লাং নামে আরেক বিলাতি নারী, তিনিও আসামে ছিলেন। তার নেশা ছিল মাছ ধরা। স্বামীর সঙ্গে তিব্বতে চলে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। মাছ ধরতে গিয়ে তিনি ভারতের অপরূপ সৌন্দর্য আবিষ্কার করলেন। হিমালয়ের ওপর সাদা তুষার দেখে তার চোখ জুড়িয়ে গেল। তার ভাষায়, “মাছ ধরার ছোট্ট লেকটির ওপর কিছু অপার্থিব নাম না জানা গাছ যেন উপুড় হয়ে ঝুলে আছে। আর, দূরে চোখ মেললে দেখা যায় হিমালয়। চারদিকে শুধু পবিত্র শুভ্রতার ছড়াছড়ি। ”

সিপাহি বিপ্লবের ঝামেলা কাটিয়ে ওঠার পর বিলাতিদের অস্থি মজ্জায় এমন একটা ধারণা জন্মাল যে, ভারতে আজীবন রাজার মতো থাকার ক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা রইল না। অনেকটা এমন, যেন ভারত নামের একটি বাড়ি খুব সস্তা দরেই কিনে ফেলা গেল। এখন সেই বাড়ির আশেপাশে মাটি ভরাট করে বিভিন্নরকম ফল, শাক-সব্জির চাষ করতে অসুবিধা কোথায়? ঊনিশ শতকের প্রথম দিক থেকেই বিলাতিরা তাদের ছুটি ছাটায় এবং অলস সময়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল আবিষ্কারে নেমে পড়ে। আগ্রার তাজমহল, দিল্লির লাল কেল্লা, রাজস্থানের মানুষের বিচিত্র পোশাক এবং সংস্কৃতি, কাশ্মিরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জয়পুরের রাজপুত্রদের ঐতিহ্যের বীরগাথা সবই গোগ্রাসে গিলতে শুরু করে বিলাতিরা।

বিলাতি নারী মিসেস কিং ১৮৮০ সালের দিকে ভারত দেখার আশায় বাড়ি থেকে বের হন। স্বামী আইসিএস কর্মকর্তা হওয়ায় সরকারিভাবে অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়েছিলেন। জয়পুর সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত হয়ে লিখলেন, “শহরের প্রতিটি রাস্তা যেন সৌম্য ভদ্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ইউরোপের যেকোন শহরের সাথে এর তুলনা করা যায়। ইলোরা গুহার কথা কী বলব! এক কথায় অসাধারণ! তবে ইলোরার ইতিহাস না জানার কারণে বিলাতিদের অনেকেই গুহাটির ঐতিহাসিক মূল্য বুঝতে পারেনি, এবং তাদের কাছে তেমন ভালোও লাগেনি এই গুহা। মন্দিরগুলো এক কথায় অসাধারণ!”

লেডি ফকলেন্ড আরেক বিলাতি নারী যিনি ভারতের এমাথা ওমাথা চষে বেড়িয়েছিলেন। তার স্বামী ছিলেন বোম্বের গভর্নর, ফলে ভ্রমণ আয়োজনে তার তেমন কোনো সমস্যা হতো না।

বিলাতি মেম ফেনি পার্ক ভারত ভ্রমণের শুধু সুধাই গ্রহণ করেননি, তিনি সেই ভ্রমণের ওপর ছোট একটি পুস্তিকাও রচনা করেন। ‘Wandering of a pilgrim in search of the Picturesque’ নামে পুস্তিকাটি প্রকাশিত হয় ১৮৩০ সালে। ১৮৩৪ সালে এলাহাবাদ থেকে স্বামীর সঙ্গে ছোট একটি নৌকায় চড়ে গঙ্গার বুকে আনন্দ বিহারে নামেন ফেনি পার্ক। দীর্ঘ একমাস ভ্রমণের পর হুগলি নদী হয়ে কলকাতায় পৌঁছলেন। তার দেওয়া সেই ভ্রমণের বর্ণনায় বাংলার অপরূপ একটি দৃশ্য ধরা পড়ে: “নদীর কোল ঘেঁষে সুন্দর ছিমছাম ছোট্ট এক গ্রাম। কখনো কখনো নদীপাড়ে উঠে অলস কুমিরগুলোর রোদে পিঠ শুকোতে দেওয়ার দৃশ্য। দূরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে হিন্দু মন্দিরের চূড়া দেখা যায়। চারপাশটা কী সুন্দর!” ফেনি পার্ক আগ্রার তাজমহল এবং তার পাশে মুঘল আমলে তৈরি শহর ফতেহপুর সিকরি দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। তাজমহলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য তিনি আগত ইউরোপিয়ানদের দায়ী করেন। তার ভাষায়, “তাজমহলের সামনেই কিছু স্থানীয় ইউরোপিয়ান নিজেদের সঙ্গে আনা ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে, আমোদ ফূর্তি করে তাজমহলের প্রকৃতি সৌন্দর্যের বারোটা বাজাচ্ছেন। সত্যি এটি দুঃখজনক। ”

ঊনিশ শতকের শুরুতে অবকাশ যাপনের জন্য ভারতের বিভিন্ন জায়গা বেছে নিতেন বিলাতিরা। যাদের পর্যাপ্ত টাকা কড়ি ছিল, তারা ভারতের বাইরে সুইজারল্যান্ড বা অন্যান্য দেশে ঘুরতে যেতেন। তবে সে সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য। বেশিরভাগ বিলাতি নারীরা ভারতেই ঘুরতেই বেশি ভালোবাসতেন। বিলাতি নারী মিস গডেন এবং তার স্বামী স্টিমারে চড়ে কলকাতা থেকে সুন্দরবন হয়ে পূর্ব বাংলার নারায়াণগঞ্জ এসেছিলেন। সঙ্গে থাকা ছেলেমেয়েরা স্টিমারের ডেক থেকে অবাক বিস্ময়ে প্রাণভরে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করে। মিসেস গডেনের ভাষায়, “কী অপরূপ সে দৃশ্য। নদীতে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ আর আকাশে বিভিন্ন রঙের পাখি। সে পাখিগুলোর মধ্যে কত রকমের বক, মাছরাঙা যে রয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। আর দূরে দেখা যায় সবুজ একটা গ্রাম। যেখানে চোখ সারাক্ষণই আটকে থাকতে চায়। ”

স্থানীয় রাজা মহারাজা, জমিদার, জোতদার, মহাজন, তালুকদার—সবাই নিজেদের সুবিধার জন্য ইংরেজদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতেন। বলা যায় একটি ‘মিউচুয়াল বেনিফিসিয়ারি প্যাক্ট’। চতুর বিলাতিদেরও সে খবরটা জানা ছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর পুরো সুযোগ নিতেন ভারতে অবস্থানরত বিলাতি নারীরা। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি বিলাতি পদলেহনে অভ্যস্ত রাজা মহারাজাদের আতিথেয়তাও তাদের জন্য ‘এক্সট্রা প্লাস’ হিসেবে জারি ছিল। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী হওয়ার পুরো সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন বিলাতি মেম লেডি ডুফেরিন। তার মুখ থেকেই শুনি: “পাঞ্জাবের যুবরাজ অনেক আগ্রহ আর ভালোবাসার সাথে ভারতের জঙ্গল দেখাবে বলে আমাদের আমন্ত্রণ জানালেন। সে এক বিশাল আয়োজন। হাতি, ঘোড়া, তাঁবু, শিকার করার সাজ-সরঞ্জাম সব প্রস্তুত। ”

লেডি উইলিংডন, যার স্বামী ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় ছিলেন, তারও রয়েছে একই রকম অভিজ্ঞতা। বরোদার মহারাজা নিজ উদ্যোগে এই বিলাতি মেমকে ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তবে সাধারণ বিলাতি নারীদের কথা কিন্তু আলাদা। তারা মূলত দল বেঁধে ক্যাম্পিং করার পক্ষপাতী ছিলেন। ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে তারা সবসময়ই নিজেদের সঙ্গে তাঁবু নিয়ে যেতেন। তাঁবুগুলো ছিল অনেকটা বাংলো আকৃতির। শোবার ঘর আর পাশেই বাথরুম। তাঁবুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং রাতের পাহারায় নিয়োজিত থাকতেন ভারতীয় বিশ্বস্ত গৃহকর্মীর দল। ১৮৩০ সালে ভারতের ভাইসরয় এমিলি ইডেনের বোন ফেনি তার সঙ্গে ২৬০ জন ভারতীয় চাকরের বিশাল দল নিয়ে ক্যাম্পিংয়ে বের হয়েছিলেন। “নদীর পাড়ে তাঁবু খাটিয়ে তার চারপাশে মোমবাতি দিয়ে শোভাবর্ধন করা হলো, রাতের খাবারের সময় রুপোর থালায় রুপোর চামচ দিয়ে ডিনার সারলেন লেডি ফেনি। রাতে খাবারের পর শুরু হলো ছোটখাট নাচ গান আর আনন্দ উৎসব” (The Raj on the move: story of dakbunglow)

বিশ শতকের প্রথম দিকে বিলাতি লেখক লুসি কেরনে’র Simple Menus and Recipes for Camp বইটি প্রকাশিত হয়। বইটিতে ভারতে অবস্থানরত বিলাতি মেমদের ক্যাম্পিং নিয়ে একটি সুন্দর বর্ণনা পাওয়া যায়: “খুব হালকা নাস্তা পরিবেশন করা হতো। বিশেষত গরমের কথা বিবেচনা করে ওটমিল, টোস্ট সহযোগে সিদ্ধ ডিম আর কফি। কেউ কেউ সকালের নাস্তায় কলিজার স্যুপ, আলুর চপ এবং ‘অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কারি’ পছন্দ করতেন। দুপুরের খাবারের তালিকায় রয়েছে পাউরুটি আর সস সহযোগে কবুতরের রোস্ট, এপল রিং, মাখন এবং পনির সহযোগে আলুর দম। বিকেলের নাস্তায় থাকত স্যান্ডউইচ, চা, কেক এবং টফি। রাতের খাবার তালিকায় স্যুপ, চিকেন স্যুপ, চিকেন রোস্ট, রেড ওয়াইন। রাতের খাবারে পর তাঁবুতে চলত আড্ডা, নাচ গান, ছবি আঁকা। ”

কাশ্মির ছিল বিলাতি নারীদের একটি স্বর্গরাজ্য। তাদের ভাষায় ‘আমাদের ভারতীয় সুইজারল্যান্ড’। হাতে সময় পেলেই বিলাতি নারীর দল কাশ্মিরের স্বর্গীয় সুধা পান করতে ছুটত। বিলাতি নারীদের যথাযথভাবে আপ্যায়িত করার উদ্দেশ্যে সেই ঊনিশ শতকের দিকেই কাশ্মিরের উপকণ্ঠে এবং শহরের আশেপাশে অনেক হোটেল রেস্তোরাঁ এবং ক্যাম্পিংয়ের জায়গা উঁকিঝুকি মারতে শুরু করে। বিলাতি নারীদের রক্তে ক্যাম্পিংয়ের নেশা! অতএব দাসি বান্দি লোকবহর নিয়ে এর সদ্ব্যাবহার করা চাই।

কাশ্মিরের পাশাপাশি দার্জিলিংও বিলাতি নারীদের অন্যতম প্রিয় শহর ছিল। এ বিষয়ে The complete Indian Housekeeper and Cook পুস্তিকায় নজর দেওয়া যাক। “ভারতের সবচেয়ে সুন্দরতম শহর, যেখানে এলে আপনার আত্মা শান্তি খুঁজে পাবে। এখানকার হোটেল এবং বাড়িগুলো সত্যি চমৎকার। প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্যে দার্জিলিংয়ের জুড়ি ভূভারতে আর দুটি নেই। ” তবে এর সাথে বিলাতি নারীদের একটি বৈষয়িক তথ্য দিতেও ভুল করেনি পুস্তিকাটি। “মনে রাখতে হবে শহরটিতে বসবাস করা খুবই খরচ সাপেক্ষ। অতএব পকেট ভর্তি করে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা পয়সা নিয়ে যেতে ভুলবেন না যেন!” বলার অপেক্ষা রাখে না, বিলাতি নারীরা টাকার ভয় পেতেন না। পাবেনই বা কেন? ভারতের সম্পদ পকেটস্থ করে ততদিনে বিলাতি নারীরাও যে আঙুল ফুলে কলাগাছ!

পর্ব ২৮ পড়তে ক্লিক করুন



বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।