ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সংকট থেকে মুক্তির প্রধান হাতিয়ার সাহিত্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
সংকট থেকে মুক্তির প্রধান হাতিয়ার সাহিত্য ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: পুঁজিবাদের সঙ্গে সাহিত্যের উদ্দেশ্য পরস্পরবিরোধী উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাটম বোমার চেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।  

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে শিল্প-সাহিত্য পত্রিকা ‘কালি ও কলম’ পত্রিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাদের সঙ্গে সাহিত্যের উদ্দেশ্য পরস্পরবিরোধী। উন্নয়নের সর্বশেষ অবদান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাটম বোমার চেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে। এর মালিকানা অল্প কয়েকজনের হাতে চলে গেলে এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা কল্পনা করা যায় না।  

ফ্রানৎস কাফকার ‘দ্য মেটামরফোসিস’ নাটকের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, কাফকা ইহুদি ছিলেন। তিনি ইহুদীদের গণহত্যার শিকার হতে দেখেছিলেন। এখন ইহুদিরা ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাচ্ছে। পুঁজিবাদের ভেতরেই গণহত্যার ব্যবস্থা অন্তর্নিহিত থাকে।  

বিশ্বব্যাপী সংকট আজ অনেক বেশি ঘনীভূত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সংকট ঘনীভূত হচ্ছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার কারণে। এর থেকে মুক্তির জন্য সাহিত্য আমাদের প্রধান হাতিয়ার।  

সভায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক চিন্ময় গুহ বলেন, একটা পণ্যায়িত সমাজে আমরা বসবাস করছি। এ সমাজ সাহিত্যকেও পণ্যে রূপান্তর করেছে। সাহিত্যের প্রধান কাজ আত্ম-উন্মোচন। আজকে আমাদের বিশ্ব মানুষ হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কালি ও কলমের প্রয়োজন ছিল। আজকের এ অতি অত্যাধুনিক যুগে আমাদের সবকিছু দখল করে নিয়েছে যন্ত্র। এ যান্ত্রিক পৃথিবীতে এখনও নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে মনন পরিশিলতার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে কালি ও কলম। তাদের এ সাহস, এ উদ্যোগকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।  

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী ও ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুন নবী বলেন, সাহিত্য, ছবি যা কিছুই আমরা করি সবকিছুতেই মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা আসে। সেখানে অনেক সময় গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের কথাও আসে। তবে আমরা একটা ঘরের মধ্যেই আবদ্ধ আছি। আমাদের আরও নতুন করে মানুষের জন্য ভাবতে হবে।  

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি প্রফেসর ইমেরিটাস সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, প্রকাশক আবুল খায়ের ও সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া।  

আগামী দুদিন সাহিত্য সম্মেলনের মোট সাতটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। নানা বিষয় নিয়ে আজ আয়োজিত এসব অধিবেশনে নবীন-প্রবীণ সাহিত্যিক, শিল্পী ও বিশিষ্টজনরা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।