ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সালথায় ২ দিনের সাহিত্য-বইমেলা, থাকছে নানা আয়োজন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
সালথায় ২ দিনের সাহিত্য-বইমেলা, থাকছে নানা আয়োজন

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য ও বইমেলা।  

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

 

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সার্বিক নির্দেশনায় ও সালথা উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ সাহিত্যমেলা সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্বোধনের পর অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।

মেলার প্রথমদিনে ‘সালথা উপজেলার সাহিত্য সংস্কৃতি’র ওপর একটি প্রবন্ধ পাঠ করা হয়। সেখানে তিনজন আলোচক প্রবন্ধ পাঠ করেন। যেখানে ছিল আলোচনা সভা, লেখকদের নাম নিবন্ধন, বইমেলার দ্বার উন্মোচন। অতঃপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লেখক কর্মশালা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে গান, কবিতা, নৃত্য ও যাদু প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।  

মেলা চলবে শুক্রবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত। সমাপনী দিনে ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।  

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদপুর ডিসি মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, সাহিত্যের প্রধান গুণ হলো মনোরঞ্জন তৈরি করা। আমরা যদি মনোরঞ্জন, বিরহ ও প্রহসন তৈরি করতে না পারি, সমালোচনা করতে না পারি বা নিজেকে নিয়ে ভাবতে না পারি, তাহলে সাহিত্য কোথা থেকে আসবে?। সেই সঙ্গে সাহিত্য মনে আশার জন্য আবেগও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে আমাদের ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করি, তোমরা লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ কর।

বক্তব্য রাখছেন ফরিদপুরের ডিসি মো. কামরুল আহসান তালুকদার

তিনি আরও বলেন, সালথায় যাতে প্রতিটি স্কুলে একটি করে সাহিত্য ক্লাস থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে। যাতে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সাহিত্য ও বর্তমান চলমান সাহিত্য চর্চাগুলো সবার ভেতরে অব্যাহত থাকে। যেখানে সাহিত্য আছে, সেখানে ধর্মান্ধতা থাকবে না, দাঙ্গাহাঙ্গামা থাকবে না ও জঙ্গিবাদ থাকবে না।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সুনামধন্য লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, সালথা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণচন্দ্র বর্মন, নবকাম পল্লী কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান, সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক, নারী নেত্রী আছমা আক্তার মুক্তা, ফরিদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোহাম্মাদ সাইফুল হাসান মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া প্রমুখ।

ইউএনও মো. আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, বাংলা একাডেমি প্রদত্ত নির্দেশনা ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। তার আগে এই উপজেলায় যারা সাহিত্য চর্চা করেন তাদের একটি নিবন্ধন করা ও নিবন্ধনের পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরেই আমরা একটি প্রবন্ধ পাঠের আয়োজন করি।  

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শুক্রবার ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা একটি সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছি এবং সেদিন আমরা একটি মঞ্চ নাটকেরও আয়োজন রেখেছি।

এ রকম একটি অনুষ্ঠান ইতোপূর্বে সালথায় কখনও হয়নি -এমনটাই দাবি করে ইউএনও আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, এমন আয়োজনে সালথা উপজেলার মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা, কৃষ্টিকালচার চর্চায় নতুন একটি মাত্রা যোগ করবে বলে আমি আশা করছি।  

এছাড়া উপস্থিত অন্যদের মধ্যে লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ খান তার বক্তব্যে বলেন, সাহিত্য চর্চা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে লালন করা উচিত। এতে সমাজিক পরিবেশ ভালো থাকবে। মারামারি, হানাহানির দিকে কেউ ধাবিত হবে না। এ কারণে সাহিত্য চর্চা নিয়ে সমাজে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে সাহিত্যকেন্দ্র চালু করে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।