ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ভূঞাপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে পাঠাগার সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
ভূঞাপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে পাঠাগার সম্মেলন

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে তিনদিনব্যাপী পাঠাগার সম্মেলন শুরু হয়েছে।  

পাঠাগারের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, লক্ষ্য, দিক-নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এ সম্মেলনে প্রায় দুইশ’ পাঠাগারের চার শতাধিক সংগঠক সমবেত হয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে অর্জুনা হাজি ইসমাইল খাঁ বেসরকারি কারিগরি কলেজ মাঠের পাশে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন কবি ও প্রবন্ধিক শংকর দাস।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাঠাগারের সংগঠকরা উপজেলার অর্জুনা গ্রামে তিনদিন থেকে পাঠাগারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

ভূঞাপুর উপজেলা সদর থেকে নয় কিলোমিটার উত্তরে যমুনা নদীর তীরে অর্জুনা গ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সম্মেলন।  

উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তারা বলেন, বহুমাত্রিক দারিদ্র্যতা, চিন্তার দারিদ্র্যতা থেকে বের হয়ে আসতে হলে আমাদের বইয়ের কাছে যেতে হবে। বই পড়তে হবে এবং পাঠাগার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু গ্রামে গ্রামে নয়, প্রতিটি বাড়িতেই পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। মহা সূর্যের যে আলোর ঝলক, তার নাম হচ্ছে পাঠাগার। পাঠাগার থেকেই আলো নিয়ে সমৃদ্ধ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে আগামী প্রজন্ম গড়ে উঠবে। আলোকিত মানুষ হতে চাইলে বইয়ের সংস্পর্শে থাকতে হবে। তাই গ্রামে গ্রামে পাঠাগার আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।

সম্মেলনের আহ্বায়ক আবদুস ছাত্তার খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।  

এতে বক্তব্য দেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন, প্রকাশক খান মাহবুব, অধ্যাপক আফজাল রহমান, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ, এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু নাসের, কথা সাহিত্যিক মার্জিয়া লিপি, কবি তাসলিমা জামান পান্নাসহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জুলিয়াস সিজার তালুকদার।  

উদ্বোধন শেষে অতিথিরা সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত “প্রয়াগ” নামের একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
সম্মেলন বৃহস্পতিবার শুরু হলেও বুধবার বিকেল থেকেই সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাঠাগারের সংগঠকরা।  

উদ্যোক্তারা জানান, সম্মেলনে দেশের সব অঞ্চল থেকেই প্রতিনিধিরা এসেছেন। বিকেল নাগাদ চার শতাধিক প্রতিনিধি যুক্ত হয়েছেন সম্মেলনে। এ কলেজে তাবু টানিয়ে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গাইবান্ধার তুলসিঘাট থেকে সম্মেলনে এসেছেন বিমল সরকার সাহিত্য সম্ভার ও পাঠাগারের সংগঠক শামীম সরকার।  

তিনি জানান, প্রত্যন্ত গ্রামে সারাদেশের পাঠাগার আন্দোলনে যুক্ত মানুষেরা মিলিত হয়েছেন। পরস্পরের সঙ্গে তিনদিন পাঠাগারের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। এতে পাঠাগার আন্দোলন জোরদার হবে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে সম্মেলনে এসেছেন মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আতিফ আসাদ। তিনি এবার পাঠাগার প্রতিষ্ঠার জন্য জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।  

তিনি জানান, এ ধরনের আয়োজন সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন পাঠাগারের সংগঠকদের উৎসাহিত করবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার পাঠাগার বিষয়ক ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিরাতেই সম্মেলনস্থলে গম্ভীরা, গাজীর গান, ভাওয়াইয়া, লালন গীতি ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন হবে। সম্মেলন উপলক্ষে সেখানে বইমেলা এবং গ্রামীণ হস্তশিল্প ও কারুশিল্পের মেলাও বসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।