ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

নারিকেল বীজ কেনায় উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
নারিকেল বীজ কেনায় উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নোয়াখালী: নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের চর উরিয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নোয়াখালী এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রে নারিকেল বীজ কেনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

চলতি মৌসুমে বিএডিসি’র উদ্যান উন্নয়ন বিভাগ ও এগ্রো সার্ভিস সেন্টার কার্যক্রমের আওতাধীন খামারগুলোতে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নারিকেল চারা উৎপাদনের জন্য ২২ হাজার নারিকেল বীজ কৃষক পর্যায় থেকে কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ  দেওয়া হয়।

এতে কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিটি নারিকেল বীজ ৬৮ টাকা দরে কিনতে বলা হয়।

কৃষকদের অভিযোগ, এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রের উপ-পরিচালক নুরুল আলম সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা করেননি। তিনি কৃষকদের কাছ থেকে উন্নতমানের নারিকেল বীজ সংগ্রহ না করে নিজের ইচ্ছামতো স্থানীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নারিকেলের আড়ত থেকে প্রতিটি ৪৯ টাকা দরে নারিকেল বীজ কিনেছেন। যার মান নিম্নমানের। কিন্তু দাম ৬৮ টাকা করেই দেখিয়েছেন তিনি। এভাবে তিনি ও সিন্ডিকেটের সদস্যরা মোটা অংকের অর্থ লোপাট করেছেন।

চর উরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী, মাহবুবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, আবুল হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, এখানে কৃষকদের কাছ থেকে নারিকেল বীজ সংগ্রহের কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে কৃষকদের কাছ থেকে কোনো নারিকেল বীজ সংগ্রহ করা হয় না। এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রের কর্মকর্তারা নিজেদের সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃষকের ভুয়া তালিকা করে নারিকেল আড়ত থেকে নিম্নমানের নারিকেল সংগ্রহ করেন। ফলে নারিকেলের চারার স্বাভাবিক উৎপাদন হয় না।  

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শুধু নারিকেল বীজ কেনায় অনিয়ম নয়, এখানে চারা উৎপাদনে সার, কীটনাশকসহ যাবতীয় খরচেও গড়মিল করেন কর্মকর্তারা।  

অভিযোগ রয়েছে, এছাড়া সারা বছর চলমান কৃষক প্রশিক্ষণ, উন্নতমানের বীজ, চারা, কলম, সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, কৃষি বিষয়ক বইসহ অন্যান্য পণ্য কেনায় ও বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করে আসছেন উপ-পরিচালক নুরুল আলম। নিজ এলাকার বীজতলায় নারিকেল বীজ সরবরাহ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষকরা।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নোয়াখালী এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রের উপ-পরিচালক নুরুল আলম বলেন, এখানে নারিকেল বীজ সংগ্রহে প্রতি বছর রাজনৈতিক চাপ থাকে। তাই কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি নারিকেল বীজ সংগ্রহ না করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে নারিকেল বীজ সংগ্রহ করতে হয়। এতে কোনো ধরনের অনিয়মে আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।

নোয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশরেফুল হাসান চন্দন বলেন, গত বছর ওই বীজতলায় নারিকেল কেনা সংক্রান্ত কমিটিতে আমাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল। তখন নারিকেল কেনার আগে উপ-পরিচালক আমাদের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন। এবার আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।