ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

দুর্বৃত্তের ছিটানো আগাছানাশকে ঝলসে গেল ধানের চারা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
দুর্বৃত্তের ছিটানো আগাছানাশকে ঝলসে গেল ধানের চারা ঝলসে যাওয়া ধানের চারা। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আগাছানাশক ওষুধ ছিটিয়ে ১ কেয়ার (বিঘা) জমির বীজতলা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের হাইল হাওর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ইছবপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শাহজাহান মিয়া ও মালেকা বেগম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  

হাওরের প্রান্তিক কৃষক প্রশান্ত দেব, সাধন শুল্ক বৈদ্য, কনা বাদ্যকর, জগাই বাদ্যকর ও জয়রাম কাহার গত ৩ মাস আগে এসব জমিতে বীজতলা তৈরি করেন। এরই মধ্যে বীজতলা চারায় পরিণত হয়েছে। এ সময় কে বা কারা আগাছানাশক ওষুধ ছিটিয়ে জমির সব বীজতলা পুড়িয়ে ফেলে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, তাদের কষ্টের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় তারা এখন পথে বসে যেতে হবে। ধার কর্জ করে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। এটা বিক্রি করে সংসারে যোগান দেওয়ার কথা ছিল।  

কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই এক কেয়ার জমির বীজতলা দিয়ে ৬০ কেয়ার জমিতে ধানের চারা রোপণ করা যেত। তিনি বলেন, আমরা বীজতলা বাঁচাতে আবারো ওষুধ ছিটাবো। চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব বীজতলা রক্ষা করার।

ইউপির সদস্য শাহজাহান মিয়া বলেন, এটা যারাই করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। ফসলি জমির সঙ্গে শত্রুতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আরেক ইউপি সদস্য মালেকা বেগম ক্ষতিগ্রস্ত গরিব কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য কৃষি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।  

এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেছেন, গত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন শত্রুতাবসত দরিদ্র এসব কৃষকদের জমির বীজতলা নষ্ট করে থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।