ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

রংপুরে আউশ আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭ শতাংশ বেশি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
রংপুরে আউশ আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭ শতাংশ বেশি

ঢাকা: চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে রংপুরের পাঁচ জেলায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। এ বছর ৫৯ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হয়েছে ৬৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চার হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি।

শুক্রবার (২৬ জুন) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। তথ্যানুসারে, ২০০০-০১ মৌসুমে এ অঞ্চলে আউশ আবাদ হয়েছিল ২৫ হাজার ৭৩৪ হেক্টর জমিতে।

এর পরবর্তী বছরগুলোতে ক্রমাগত আউশ আবাদের এলাকা কমতে থাকে এবং ২০০৯-১০ সালে সর্বনিম্ন ১২ হাজার ৯৩৮ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়। ২০০৯-২০১০ সালের তুলনায় এবার আবাদ হয়েছে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। আউশ আবাদের এলাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে হেক্টর প্রতি গড় ফলনও। ২০১৭-১৮ মৌসুমে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন হয়েছিল ২.৯৮ মেট্রিক টন। গত ২০১৮-১৯ মৌসুমে তা বেড়ে হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩.০৪ মেট্রিক টন। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৩.০৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হলে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলা থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল চলতি আউশ মৌসুমে উৎপাদিত হবে। যা মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ হাজার ৫৯ মেট্রিক টন বেশি।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জানান, এ অঞ্চলে জমির প্রায় অর্ধেক ‘বোরো-পতিত-রোপা আমন’ শস্যবিন্যাসের আওতায় রয়েছে। এই শস্য বিন্যাসের মধ্যে আউশ উপযোগী জমিকে আউশভিত্তিক তিন ফসলী জমিতে নিয়ে আসার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলছে মাঠপর্যায়ে। ফলে আউশের আবাদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলে শষ্যের নিবিড়তাও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।