ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

অতিরিক্ত টোল-ট্যাক্সে দিশেহারা ফলচাষিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪১ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
অতিরিক্ত টোল-ট্যাক্সে দিশেহারা ফলচাষিরা

খাগড়াছড়ি: দেশ খ্যাত আম্রপালি, রাঙ্গুইসহ বিচিত্র জাতের আমের জন্ম খাগড়াছড়িতে। সুস্বাদু এসব আম সারাদেশে বেশ কদর। তবে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কের অতিরিক্ত ট্যাক্স ও টোলের কারণে ফল বিক্রি করে খুশি নন চাষিরা। এছাড়াও আঞ্চলিক কয়েকটি দলকে দিতে হচ্ছে চাঁদা।

দিন দিন খাগড়াছড়িতে বাড়ছে বিষমুক্ত ও ফরমালিনবিহীন আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে এখনকার আম।

কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার ধার্যকৃত টোল কয়েক গুণ হারে বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফল বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতিটি আম বা ফলের ট্রাক খাগড়াছড়ি থেকে ফেনী বা চট্টগ্রামে পৌঁছাতে টোল ও ট্যাক্সের নামে চাঁদা আদায় করা হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ছোট ট্রাক ৪০০০-৫০০০ টাকা, বাজার ফান্ড প্রতি গাড়ি ৩০০ টাকার জায়গায় নেওয়া হয় দেড় হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।

আম

রামগড়ের সোনাইপুল ও মানিকছড়ির গাড়ি টানায় পার্বত্য জেলা পরিষদের টোলে ফলের বড় গাড়ি নির্ধারিত ৫০০ টাকার স্থলে ৮০০০ টাকা, ছোট ট্রাক ৪০০ টাকার স্থলে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে বিনা রশিদে। পৌরসভা কখনো টোল সিডিউল মানেনা। শুধু তাই নয় খুচরা আম পরিবহনকারীরাও আছেন বিপদে। নিয়ম অনুযায়ী ২০ কেজি বা ১ ক্যারেটের ট্যাক্স মাত্র ৫ টাকা ধরা থাকলেও ইজারাদাররা জোরপূর্বক নিচ্ছেন ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

খাগড়াছড়ির ফলজ বাগান সমিতির উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিংকু বাংলানিউজকে বলেন, টোল কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত টোল নেওয়ার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বার বার প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও সুফল পাচ্ছিনা। আমরা অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে এর প্রতিকার চাই।

খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের নির্ধারিত রেট অনুযায়ী ইজারাদাররা সংগ্রহ করে থাকে। এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই। তারপরও বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের সুযোগ রয়েছে।

এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিভিন্ন ফলফলাদি বাজারজাত ও দেশের অন্য অঞ্চলে পরিবহনের ক্ষেত্রে আমচাষিরা চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
এডি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।