ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ভোলায় টানা বর্ষণে ১২ হাজার হেক্টর রবিশস্য ক্ষতিগ্রস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
ভোলায় টানা বর্ষণে ১২ হাজার হেক্টর রবিশস্য ক্ষতিগ্রস্ত টানা ব‍ৃষ্টিতে জলাবদ্ধ সবজির ক্ষেত

ভোলা: ভোলায় দুই দিনের টানা বর্ষনে ১২ হাজার ৭৩০ হেক্টর বরিশস্যের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব ফসলের মধ্যে খেসারি ডাল, মসুর ডাল, সরিষা ও আলুর ক্ষতি সবচেয়ে বেশি।

ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে ৯ হাজার ৪৩৩ হেক্টর খেসারি, ২০৭ হেক্টর  মসুর, ১৩৮০ হেক্টর সরিষা, ৭শ’ হেক্টর আলু ও এক হাজার ১০ হেক্টর জমির সাক-সবজি রয়েছে। এতে কৃষকরা দিশোহারা হয়ে পড়েছেন।

অনেকেই ধার দেনা আর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ফসল আবাদ করলেও তাদের সে স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এতে আগ্রহ কমে গেছে কৃষকের।

দু’একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে না গেলে এবং রোদ না উঠলে এ ক্ষতির সম্ভাবনা আরো বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) কৃষি অফিসের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় এ তথ্য জানা গেছে।  

জেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, জেলায় টানা বর্ষণে নিমজ্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর খেসারি, ১৮ হেক্টর মসুর, ১৯৫ হেক্টর সরিষা, ৭০ হেক্টর আলু ও ১৭০ হেক্টর সবজি।  

দৌলতখান উপজেলায় ১৮২০ হেক্টর জমির খেসারি, ২৫ হেক্টর জমির মসুর, ১৫০ হেক্টর জমির সরিষা, ৪০ হেক্টর জমির আলু ও ২৫৫ হেক্টর জমির সাক-সবজি রয়েছে।

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোট ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৮১৮ হেক্টর জমির। এর মধ্যে ৩৭২ হেক্টর জমির খেসারি, ১১৬ হেক্টর জমির মসুর, ৩০৬ হেক্টর জমির সরিষা ও ২৪ হেক্টর জমির সবজি রয়েছে।

লালমোহন উপজেলায় মোট ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমির। যার মধ্যে ১৭০০ হেক্টর খেসারি ২৫ হেক্টর মসুর, ৩৮০ হেক্টর সরিষা, ৪৩০ হেক্টর আলু ও ১৪০ হেক্টর জমির সবজি রয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলায় রবিশস্যের ক্ষতি হয়েছে মোট ২ হাজার ৬৭১ হেক্টর জমির। এর মধ্যে ২ হাজার ৬০ হেক্টর জমির খেসারি, ৩৫ হেক্টর জমির সরিষা, ২০ হেক্টর জমির আলু ও ৫৬ হেক্টর জমির সবজি রয়েছে।
মনপুরা উপজেলায় ২৭৫ হেক্টর জমির খেসারি, ২২ হেক্টর জমির মসুর, ৩০ হেক্টর জমির সরিষা, ৩৮ হেক্টর জমির আলু, ২০ হেক্টর জমির ফলন এবং ১০০ হেক্টর জমির শাক-সবজি রয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, রোববার বিকেলের পর থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে গেলেও অধিকাংশ ক্ষেতে জলবদ্ধতা রয়েছে। এতে কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে আলু চাষির ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি।

চর আনন্দ গ্রামের স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, কৃষকদের লাখ লাখ টাকার আলু ক্ষেত পানিতে ডুবে রয়েছে এতে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে।

এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, যেসব ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে সেসব ক্ষেত সেচ দিয়ে পানি সরিয়ে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, তবে যাদের ক্ষেতে অধিক ক্ষতি হয়েছে তাদের নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে হবে। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।