ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

লবণাক্ততা দূরে ঘটবে কৃষি বিপ্লব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
লবণাক্ততা দূরে ঘটবে কৃষি বিপ্লব আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিদের দাবি, লবণাক্ততামুক্ত ক্ষেতে সম্ভব বোরোতেও। ছবি: বাংলানিউজ

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার লবণাক্ততা কবলিত শ্যামনগর উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম লবণাক্ত এলাকার ফলনও ভালো। স্বপ্ন পূরণের আনন্দে খুশি কৃষকেরা।

লবণাক্ততা দূর করা গেলে বোরো ধানেরও বাম্পার ফলনের পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ ও চাষিরা।

উপজেলার হায়বাতপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শ্যামনগরে লবণাক্ততার কারণে কৃষি ফসল খুব কম হয়।

শুধুমাত্র আমন মৌসুমে ধান উৎপাদিত হয়। এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ায় জমিতে লবণাক্ততা কম। তাই ফলন ভালো হয়েছে।
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া মনে করেন, লবণ পানিতে কৃষি-প্রাণবৈচিত্র্য নষ্ট হয়। খালগুলোতে মিষ্টি পানি ধরে রাখলে মৎস্য চাষের পাশাপাশি সেচের মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠগুলো ভরে গেছে সোনালী ধানে।  ছবি: বাংলানিউজতিনি আরও বলেন, ‘লবণাক্ততার কারণে এখানে বোরো মৌসুমে খুব কম জমিতে ধান হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে লবণাক্ততা কমে যাওয়ায় আমন মৌসুমে আবাদ বাড়ে। বেশি বৃষ্টিপাতে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে'।

‘মিষ্টি পানির আধার বাড়ানো গেলে আমনের মতো বোরো মৌসুমেও ধানের ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব’। এজন্য সরকারি খালগুলোতে লবণ পানি তুলে মাছের চাষ না করার সুপারিশও করেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হায়বাতপুর থেকে নওয়াবেকী হয়ে মুন্সীগঞ্জ ও শ্যামনগর থেকে সরাসরি মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশের ফসলের মাঠগুলো ভরে গেছে সোনালী ধানে।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।

কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে চিনে কানাই, আট বিঘা জমিতে বিআর-৩০, ১২ বিঘা জমিতে বিআর-১০ ও ছয় বিঘা জমিতে বিআর-২৩ ধানের চাষ করেছেন। তার ক্ষেত সোনালী ধানে ভরে গেছে। দু’একদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে সেগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।