ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ফুল চাষিরা হতাশ, ছাড়তে হবে ব্যবসা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
ফুল চাষিরা হতাশ, ছাড়তে হবে ব্যবসা! সাভারে ফুল চাষিরা হতাশ

ঢাকা (সাভার): ফুল, তাকে যে নামেই ডাকা হোক না কেনো তা সুবাস ছড়াবেই। বাসাবাড়ি, অফিস আদালত, সব ধরনের অনুষ্ঠানাদি সুন্দর করে সাজাতে ফুলের কোনো বিকল্প নেই। মনের ভালোবাসা প্রকাশেরও অন্যতম মাধ্যম এ ফুল।

একটি টাটকা ও সতেজ ফুল মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তুলতে পারে। তা বাগানে থাকুক অথবা ফুলদানিতে।

তাই মন ভালোর পাশাপশি অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্যও ফুলের চাষ করে থাকেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ভালোবাসা দিবসসহ সব সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।

সাভারের বিরুলিয়া, সাদল্যাপুর, শ্যমলাপুর, মৈস্তাপাড়া, আকরাইন এলাকায় গড়ে উঠেছে বড় বড় ফুলের বাগান। এসব ফুল চাহিদা মেটায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকার। কিছু ফুল আবার চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটেও যায়।

সন্ধ্যার পর শ্যমলাপুর ও মৈস্তাপাড়ায় বসে বিশল ফুলের হাট। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে ছুটে আসেন টাটকা ও সতেজ ফুল কেনার জন্য। অনেকেই আবার দেখার জন্য আসেন।
সাভারে ফুল চাষিরা হতাশ
ফুল চাষি রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ফুল চাষ করেই সংসার চলে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কিছুটা লাভের মুখ দেখলেও ব্যবসা থাকেনা বছরের অন্যান্য সময়গুলোতে।

তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে গ্লাডিয়াস চাষে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। একটি গাছ থেকে ফুল পাওয়া যায় মাত্র একবার। সে হিসেবে প্রতিটি ফুল ১০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হয়। তার ওপরে এখন বাজারে আসতে শুরু করছে চায়না ফুল।

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, চায়না ফুলের কারণে টাটকা ফুলের বাজার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চায়না ফুলের কোনো গন্ধ নেই, শুধু দূর থেকে দেখতেই সুন্দর লাগে। তাই বড় বড় অনুষ্ঠানে এখন শুধু চায়না ফুল লাগানো হয়। এমনভাবে চলতে থাকলে আমাদের ফুলের চাষ বন্ধ করে দিতে হবে। ছাড়তে হবে ফুলের ব্যবসা।
বর্তমানে ফুলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে প্রতিনিয়ত হতাশায় ভুগছেন সাভারের একাধিক ফুল চাষি। তবু এর মধ্য দিয়েই তারা চাষ করছেন গোলাপ, গ্লাডিয়াস, জারবেরিসহ নানান প্রজাতির ফুল।

এ বিষয়ে চাষি রুহুল আমিন বলেন, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিলে আমারা এ ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে পারবো। তা না হলে ফুল চাষ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
এইচএমএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।