ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

সবজির মান নেই দামে আগুন!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
সবজির মান নেই দামে আগুন! মূল্য তালিকায় দাম লেখা নেই। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোনা: পাকা, আধাপাকা, পোকা ধরা ও অর্ধেক পচা। বাধ্য হয়ে তবু চড়া দামেই এসব সবজি কিনছেন ক্রেতারা। গত কয়েকদিনে সরেজমিনে নেত্রকোনা শহরের বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

পাকা, পোকা ধরা বা অর্ধেক পচা কোনো সবজিই কেজিতে ৫০ টাকার নিচে মিলছেই না বাজারে। শাক থেকে শুরু করে বাঁধাকপি বা ফুলকপিতেও শুরু হয়েছে কেজির হিসাব!

সর্বশেষ রোববার (১৫ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত শহরের জয়ের বাজার, মেছুঁয়া বাজার, বড়বাজার, আনন্দবাজার ও রাজুরবাজার ঘুরে দেখা হয়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়, কাঁচামরিচের কেজি ১৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা।

করলা, বেগুন, বরবটি ও পটল ৭০-৮০ টাকা। ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, শশা, লালশাক, পুঁইশাক ও মূলা শাকের কেজি ৬০ টাকার মধ্যে। তবে পিয়াজ কেজি প্রতি ৫০-৫৫ টাকা ও পেঁপে ২৫-৩০ টাকা। এদিকে আকৃতি অনুযায়ী প্রতিটি দেশি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায়।

পাকা কাকরোল।  ছবি: বাংলানিউজসপ্তাহ দুয়েক ধরে এমন দামেই প্রায় অপরিবর্তিত সবজির বাজার। নিম্নবিত্তদের তাই নাভি:শ্বাস উঠছে বাজারের গরমে। বাজার নিতে এসে চটপটি বিক্রেতা ভুট্টো দাস বাংলানিউজকে বলেন- ভালমন্দ যাই হোক, প্রতিটি রাত পার হলেই বাড়ছে সবজির দাম! দুই টাকার চটপটিওয়ালার রোজগার তো বাড়ে না। তারপর এমন এক পরিস্থিতি শুরু হয়েছে, সব কিছু কেজি হিসেবে কিনতে হয়! ষাট টাকার নিচে কোন সবজিতে হাত দেয়া যাচ্ছে না। মন চায় ঘরসংসার সবকিছু ছেড়ে নিরুদ্দেশ হই।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মামুনের আক্ষেপ, সারাদিন পরিশ্রম করে যা রোজগার হবে তা পচা, আধাপচা সবজি বাজারে দিয়ে যেতে হবে। আর কয়েকদিন চললে ব্যবসার পাশাপাশি ভিক্ষা করেও জীবন বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

সারা জীবনেও সবজি বাজারে এভাবে দাম চড়তে দেখেননি জানিয়ে রিকশাচালক গণি মিয়া’র অভিযোগ, দাম চড়ার পেছনে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে। সময় সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা ক্রেতাদের গলায় ছুরি চালাচ্ছে।

 সবজি বাজার।  ছবি: বাংলানিউজতবে সবজির চড়া দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সুযোগসন্ধানী সেই চিরচেনা মন্তব্য, বৃষ্টি আর বন্যায় সবশেষ। সবজির আমদানি নাই।

এমন পরিস্থিতিতে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান শিক্ষক শাহ্জাহান কবির। তিনি বলেন, শহরের কোনো বাজারে
কোনোদিন নিত্য পণ্যের মূল্য তালিকা লেখা হয় না। যে যার মতো ক্রেতাদের কাছ থেকে নিত্য পণ্যের দাম নিচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।