ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

খরার কবলে নীলফামারী, পুড়ছে ফসলের মাঠ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৩
খরার কবলে নীলফামারী, পুড়ছে ফসলের মাঠ

নীলফামারী: প্রচণ্ড খরার কবলে পড়েছে নীলফামারী। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় নদী-নালা ও জলাশয় শুকিয়ে গেছে।

এতে করে কৃষকরা পাট চাষ করে জাগ দিতে পারছেন না। এমনকি মৌসুমের আমন চারাও লাগাতে পারছেন না। ভরা বর্ষায় শ্যালো মেশিন চালিয়ে সেচ দিয়ে কেউ কেউ আমনের চারা লাগালেও অনেকের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের তালতলা পাড়ার কৃষক নবেজ উদ্দিন জানান, প্রথম দিকের বৃষ্টিতে দুই বিঘা জমিতে আমনের চারা লাগিয়েছি। কিন্ত বৃষ্টির অভাবে আমনের চারা পুড়ে যাচ্ছে। মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। তিনি আরও জানান, এখানে সেচযন্ত্রের ব্যবস্থা নেই, তাই পানিও দিতে পারছি না।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে মৌসুমি বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে চারা রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ যাবত সাত হাজার ২৩৪টি সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৯৭৮ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়েছে।  

যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, গভীর নলকূপ ২৬টি, অগভীর বিদ্যুৎ চালিত পাঁচ হাজার ৬০টি, অগভীর ডিজেল চালিত এক হাজার ৯৯৬টি ও অন্যান্য রয়েছে ১৫২টি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, জেলায় এক লাখ ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এ যাবত অর্জিত হয়েছে ৫০ হাজার ৫৭১ হেক্টর। এর বিপরীতে সেচ যন্ত্র রয়েছে, সাত হাজার ২৩৪টি।  

তিনি আরও জানান, এখনো আমন মৌসুম শেষ হওয়ার এক থেকে দেড় মাস বাকি আছে। তার পরও মাঠ পর্যায়ে আমনচাষীদের সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে চারা রোপণের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে, ছয় উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।