ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

এবার আমের সঙ্গে কম খরচে ঢাকা গেল কোরবানির পশু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
এবার আমের সঙ্গে কম খরচে ঢাকা গেল কোরবানির পশু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: আগামী ২৯ জুন (১০ জিলহজ) উদযাপিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদ ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কম খরচে কোরবানির পশু ঢাকা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে।

তবে এবার আলাদাভাবে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ চালু না করে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে তিনটি ওয়াগনে পরিবহন করা হচ্ছে কোরবানির পশু।

শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ট্রেনটির উদ্বোধনের মাধ্যমে পশু পরিবহন সেবা চালু হয়। রেলস্টেশনের মাস্টার মো. ওবাইদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৃতীয়বারের মতো শনিবার (২৪ জুন) থেকে খামারি-ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকা রুটে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে আলাদা করে তিনটি ওয়াগনে কোরবানির পশু ঢাকায় পাঠানো শুরু হয়েছে। ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে হয়ে ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশে। পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনসহ আরও ৬টি স্টেশনে কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার তেজগাঁও পৌঁছাবে গভীর রাতে।  

গত বছর ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর ১১ দিনের মাথায় লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দিয়ে ক্যাটল ট্রেনটি চালু করা হয়। তবে এ বছর আম পরিবহন কমে যাওয়ায় সাতটি ওয়াগনের পরিবর্তে একটি ওয়াগন কমিয়ে তিন ওয়াগনে আম এবং তিন ওয়াগনে কোরবানির পশু পরিবহন করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। প্রতি ওয়াগনে ২০টি করে গরু পরিবহন করা যাবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কাঁকনহাট, রাজশাহী থেকে একটি ওয়াগনের ভাড়া হবে ১১ হাজার ৮৩০ টাকা। এসব স্টেশন থেকে একটি গরু পরিবহনের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯২ টাকা। শনিবার (২৪ জুন) থেকে এই ট্রেনে কোরবানির পশু পরিবহন শুরু করেছে চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আইনুল হক জানান, ক্যাটল ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে তার খামারে পালিত সবগুলো গরুই তিনি ক্যাটল ট্রেনে করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। ট্রাকে সময় বেশি লাগে এবং ট্রাক থেকে গরু লাফ দেওয়ার ভয় থাকায় তিনি ট্রেনকেই নিরাপদ ভাবেন। এ বছরও তার খামারের ছয়টি গরু নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

একই উপজেলার খামারি শহিদুল ইসলাম জানান, একটি ট্রাক ভাড়া করতে গেলে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু এ ট্রেনে একটি ওয়াগনে মাত্র ১১ হাজার ৮৩০ টাকায় নিরাপদে ঢাকায় গরু নিতে পারছেন। তাই তিনি ট্রেনকেই বেছে নিয়েছেন। তবে এ ট্রেনটি অন্তত আরও ৫ দিন আগে চালু করা হলে খামারিদের উপকার হতো।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক জানান, এ বছর ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন বন্ধ না করে একসঙ্গে আম ও পশু পরিবহন করা হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছি কৃষি ও ফলের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ একটি পণ্যবাহী ট্রেন বা যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে কয়েকটি কৃষির ওয়াগন। আমাদের দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলেও আম ও পশুর জন্য এ ট্রেনটি চালু হওয়ায় আনন্দিত। তবে তিনি পুরো ওয়াগন ভাড়া নয়, ক্ষুদ্র খামারিদের কথা মাথায় রেখে যারা একটি বা দুটি পশু পরিবহন করাতে চাই, সে ব্যবস্থা রাখার দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।